স্মৃতিময় নুহাশপল্লী

প্রকাশঃ মে ৩০, ২০১৫ সময়ঃ ৮:০০ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

nuhash-polli-1নির্মল আকাশে প্রখর সূর্য। গাছের পাতা ভাবলেশহীন। যেন প্রার্থণায় রত। শান্ত সৌম্য পরিবেশ। ওপরে লিচু, জাম আর শান্তির প্রতীক জলপাই গাছ,নিচে সবুজ ঘাসের গালিচা,যেন এক টুকরো শান্তি নিকেতন। এইখানে চির নিদ্রায় হুমায়ূন আহমেদ।

বলছিলাম নুহাশ পল্লীর কথা। হুমায়ূন আহমেদের সমাধির কথা। নুহাশ পল্লী, ঢাকার অদুরে গাজীপুরে অবস্থিত। বিশিষ্ট্য সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রাকৃতিক নৈসর্গ। গজারি আর শাল গাছের জংগলের মধ্যে দুর্গ আকৃতির দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকেই সবুজের সমারোহ দেখে চোখ আর মন দুই জুড়িয়ে যাবে।

সবুজ মাঠের মাঝখানে একটি বড় গাছের ওপর ছোট ছোট ঘর তৈরি করা হয়েছে। শুটিং এর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ঘরগুলো অবাক করবে আপনাকে।

উদ্যানের পূর্ব দিকে রয়েছে খেজুর বাগান। বাগানের এক পাশে “বৃষ্টি বিলাস” নামে অত্যাধুনিক একটি বাড়ি রয়েছে।
নুহাশ পল্লীর আরেক আকর্ষণ “লীলাবতী দীঘি”। দীঘির চারপাশ জুড়ে নানা রকমের গাছ। রয়েছে সানবাঁধানো ঘাট। পুকুরের মাঝখানে একটি দ্বীপ। সেখানে অনেকগুলো নারিকেল গাছ।76115003

এছাড়া এখানে দেখা মিলবে হুমায়ূন আহমেদের আবক্ষ মূর্তি ও সমাধিস্থল, পদ্মপুকুর, সরোবরে পাথরের মৎস্যকন্যা, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের অনুকীর্তি, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অ্যাবড়োথেবড়ো সুইমিং পুল, দাবার গুটির প্রতিকৃতি, টি-হাউসসহ নানা রকম দৃষ্টিনন্দন সব স্থাপত্য।

হুমায়ূন আহমেদ শৈল্পিক চিন্তা দিয়ে এখানে তৈরি করেছেন স্যুটিং স্পট ও পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র। ভূত বিলাস, বৃষ্টিবিলাসসহ তিনটি বাংলো রয়েছে এই বাগানবাড়িতে।

কিংবদন্তী কথাসাহিত্যক হুমায়ুন আহমেদ, সুযোগ পেলেই নুহাশ পল্লীতে চলে আসতেন সময় কাটাতে।কখনো আসতেন সপরিবারে, আবার কখনো আসতেন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে রাতভর আড্ডা দিতে।

সবকিছু মিলিয়ে নুহাশ পল্লী স্বপ্নময় একজন মানুষের সপ্নীল সৃষ্টি। ঘুরে আসুন। ভাল লাগবেই।

প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G